চুল-দাড়ি ঘন করতে মিনোক্সিডিল ........ 

কম চুল বা দাড়ি নিয়ে অনেকে ঝামেলায় পড়েন। এর দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নানা উপায় আছে। অনেকের ধারণা, বারবার চুল বা দাড়ি কাটলে ঘন হয়। তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শুরুর দিকে চুল বা দাড়ি ইচ্ছা রকম বাড়তে দিন। চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর ছাঁটুন। মুখের যত্ন নিন। ভালো করে ঘষে ত্বকের ওপর থেকে কোষ দূর করার চেষ্টা করুন। এর ফলে নতুন চুল ও দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।

মুখের চামড়া পরিষ্কার রাখুন। অন্তত সকালে এবং সন্ধ্যায় একবার করে হালকা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করলে আরও ভালো। এর ফলে ছোট দাড়ি বেরোতে সুবিধা হবে। ইউক্যালিপটাস দেওয়া আছে, এই ধরনের ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে দ্রুত দাড়ি গজাবে। বিক্ষিপ্তভাবে কোঁকড়ানো দাড়ি থাকলে তা কেটে ফেলুন। এগুলো সুষমভাবে দাড়ির বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি করে। বিশ্রাম নিন। ফলে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সেরে উঠবে। দ্রুত দাড়ি গজাবে। স্ট্রেস কমান। শরীরচর্চা করুন। এর ফলে মুখম-লে রক্ত-সঞ্চালন বাড়বে, যা দাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত ফল এবং শাকসবজি রাখুন। এ ছাড়া মিনোক্সিডিল-৫ ওষুধ আছে, যা ব্যবহার করলে আপনার চুল বা দাড়ি গজাবে। এ ছাড়া হালকা চুল ঘন করে এবং চুল পড়া বন্ধের উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর ক্রিকল্যান্ড মিনোক্সিডিল হলো আমেরিকার একমাত্র সার্টিফাইট ইন্টারন্যাশনাল মিনোক্সিডিল ব্র্যান্ড, যা খুব দ্রুত কাজ করে।

কেন ব্যবহার করবেন?

মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে?

কিছুতেই থামাতে পারছেন না?

এরই মধ্যে টাক হয়ে গেছে?

গালে দাড়ি নেই, থাকলেও হালকা?

চাপদাড়ি চান?

হারানো চুল ফিরে পেতে চান?

কারা মিনোক্সিডিল ব্যবহার করতে পারবেন

যাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৫ বছর।

যাদের বড় কোনো অসুখ নেই।

সম্প্রতি যাদের বড় কোনো রোগের চিকিৎসা হয়নি।

যাদের ব্লাড প্রেসার নেই।

যাদের চুল ঝরে গেছে।

যাদের নিয়মিত চুল পড়ে।

যাদের দাড়ি নেই।

যাদের থুতনিতে দাড়ি আছে।

ব্যবহার : প্রথমে ফ্রেশওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ভালো করে শুকিয়ে নিন। এক মিলি মিনাক্স দুই আঙুল দিয়ে যে জায়গায় বেয়ার্ড বা চুল চান সেখানে লাগান। লাগানো শেষ হলে দুই আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে ব্যবহার করা ভালো।

মিনোক্সিডিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : মিনোক্সিডিলের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। প্রথম দিকে হালকা চুলকাতে পারে। তবে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। অনেকের ক্ষেত্রে হালকা চুল বা দাড়ি ঝরতে পারে। পরে আবার গজাবে। বড় কোনো রোগের চিকিৎসার সময় মিনোক্সিডিল ব্যবহার করবেন না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তিন থেকে চার সপ্তাহের বেশি থাকলে সাময়িকভাবে ব্যবহার বন্ধ রাখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ব্যবহার বিধি : এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই ফল পাবেন। তবে ছয় মাস কিংবা এক বছর ব্যবহারের পরিকল্পনা, করা সব থেকে ভালো। দিনে দুইবার  ব্যবহার করা ভালো। ১২ ঘণ্টা পরপর ব্যবহার করুন। দিনে দুইবার ব্যবহার করলে এক বোতল এক মাস ব্যবহার করতে পারবেন। মুখে লাগিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা রেখে তারপর মুখ ধুয়ে নিন।